শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

রক্তচোষা লাভ

এনাম ভাই গতকাল এক ঘটনা বলছিলেন। আমিও ঘটনা শোনার জন্য সোজা হয়ে বসলাম। কেন জানি না মানুষ যেকোনো গল্প শোনার জন্য পাগল। মানুষের মাঝে সৃষ্টিকর্তা যদি এই গল্প শোনার আগ্রহ সৃষ্টি করে না দিতেন তবে মনে হয় পৃথিবীতে অনেক কিছুই হতো না। যাহোক উনি বলছিলেন একজনের কাছে উনি কিছু টাকা পাবেন। তো তিনি দোকান ফেলে প্রতি সন্ধ্যায় তার বাসায় গিয়ে খোঁজ নেন সে ফিরলো কিনা। ফিরলেই তাকে টাকার কথা বলবে। সময় তো অনেক পেরুলো।

এনাম ভাইকে তো পরিচয় করিয়েই দিলাম না। এনাম ভাই হলেন এক চটপটি বিক্রেতা। তিনি রাস্তায় বসে চটপটি বিক্রি করেন। তার সাথে আমার পরিচয় টিউশনি যাওয়ার পথে নিয়মিত চটপটি খেতে খেতেই। যাহোক, জিজ্ঞেস করলাম তো পেলেন ওনাকে?
-জ্বি ভাই পাইছি। কিন্তু সে আমাকে পুরো টাকা দেয়নি। দিয়েছে তিন হাজার টাকা।
-তো বাকি টাকা কবে দিবে বলছে সে?
-এখনো তো ভাই সব টাকা বাকি। সে বলছে আগামী মাসে সব টাকা দিবে।
-কি বলেন? তিন হাজার টাকা আজ দিলে তো সতেরো হাজার বাকি থাকে, তাই না?
- না ভাই। সে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিবে।
-ঘটনা খুলে বলেন তো ভাই?

এনাম ভাই একটু লজ্জা পাচ্ছিলেন। তিনি ব্যাপারটা এড়িয়ে যেতে চাইছিলেন এ পর্যায়ে। কিন্তু আমার আগ্রহের কাছে হেরে গেলেন।

-আমার এক বন্ধু চা-পাতা সাপ্লাই দেয় দোকানে দোকানে। ভালই চলে তার ব্যবসা। কিন্তু সমস্যা হল তার পুঁজির পরিমাণ কম। সে তার ব্যবসা বাড়াতে চাইছে অনেকদিন ধরে। সবার কাছ থেকে টাকা ধার চাইছে সে। আমার কাছে আসে কয়েকবার। আমি বলি, ভাই দেখ আমার কাছে তেমন টাকা নাই। আমি নিজে খেয়ে পড়ে চলি কোনোমতে। সে চলে যায় সেবার।
- তো তারপর কি হল?
- আমার এক দূরসম্পর্কের চাচী বুঝলেন, স্বামী মারা গেছে। তো এক মেয়ে নিয়ে ওনার সংসার। কিছু ভাড়াতাড়া আসে এ নিয়েই চলে। চাচী আমাকে বললেন ওনার কিছু টাকা আছে এগুলো খাটাতে পারি কিনা দেখার জন্য। আমি বলি, চাচী এগুলো তো ভাল না। আপনি বরং এগুলো দিয়ে কিছু একটা ব্যবসা করেন। বা জমা রেখে দেন। উনি বলেন, আমি কি ব্যবসা করবো আবার! আর টাকা গুলো এভাবে ফেলে রাখার চেয়ে খাটানোই ভাল হবে।

আচ্ছা এভাবে কয়েকদিন যায়। তারপর আমার ঐ বন্ধু আবার আসে আমার কাছে। সে এবার বলে, তুই যদি টাকা দিতে না পারিস তবে কারো কাছ থেকে যোগাড় করে দে। আমি মাসে মাসে লাভ দিব। আমি বলি আমার পার্টি আছে। কিন্তু তোকে স্ট্যাম্প সই করতে হবে। ও বলে কোনো সমস্যা নেই। এরপর সব আনুষ্ঠানিকতা করে ওকে টাকা দেওয়া হয়।

- কতটাকা দিয়েছেন ভাই?
- বেশি না মাত্র বিশ হাজার টাকা। কিঞ্চিৎ হেসে তিনি উত্তর দিলেন। আমার আগ্রহ লাভে। তো কতো টাকা লাভ ধরা হল?
- মাসে ৩ হাজার টাকা। আর সে মূল টাকা দিবে দু'মাস পর।
- ও আল্লাহ!  ২০ হাজার টাকার জন্য ৩ হাজার করে ২ মাসে ৬ হাজার টাকা লাভ?
- পুরা ঘটনা শুনেন ভাই। আরো অবাক হবেন।
- আচ্ছা তারপর কি হল?
- প্রথম মাসে সে লাভ দেয়। দ্বিতীয় মাসেও দেয়। দ্বিতীয় মাসে চাচীর মেয়ের বিয়ে। অনেক টাকার প্রয়োজন। চাচী সবার কাছ থেকে টাকা তুলছেন। আমাকে বললেন তোমার বন্ধুর গুলোও নাও। আমি বললাম, চাচী ওর সাথে তো চুক্তি হইছে ২ মাস পর সে টাকা দিবে। এখন তো চাওয়া অন্যায় হবে। উনি বললেন আচ্ছা ঠিক আছে। আগামী মাসে কিছু ফার্নিচার দিব মেয়ের শ্বশুরবাড়ি তখন নিয়ে দিও।

তো পরের মাস এলো। সে এ মাসেও লাভ দিল। কিন্তু মূল টাকা সে দিতে পারছে না। আমাকে অনেক করে বুঝায়। এদিকে চাচীও অনেক চাপ দিচ্ছে। আমি চাচীর দিকে তাকিয়ে আমার কাছ থেকে ওনাকে বিশ হাজার টাকা দিয়ে দেই।

- মানে আপনার চাচী লাভ পায় তিন মাসে ৯ হাজার আর মূল টাকা ২০ হাজার। সব মিলিয়ে ২৯ হাজার? বাহ এর চেয়ে ভাল ব্যবসা আর কি হতে পারে? তারপর কি হয়?

- এরপর ভাই ওকে আমি একমাসের সময় দেই। গতকাল ওর দেখা পাই। সে আমাকে আরো তিন হাজার টাকা দেয় লাভ। বলে এই লাভও রাখো আমি পুরো টাকা তোমাকে আগামী মাসে দিব।

- তারমানে ২০ হাজার টাকার বদলে সে এখন পরিশোধ করে ১২ হাজার টাকা তাও শুধু লাভ। আসল এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। মূল টাকার ৬০% সে পরিশোধ করে ফেলেছে লাভ হিসেবেই?

- বিশ্বাস করবেন না ভাই। ঐ টাকা বাসায় নিয়ে সারারাত আমার এক ফোটা ঘুম হয় নাই। কি করবো আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ভোরে উঠে আমি তাড়াতাড়ি বাসা থেকে অনেক দূরে গিয়ে পুরা তিন হাজার টাকা মানুষকে দান করে আসছি। তারপর একটু ভাল লাগতেছে।

আমি একটু হাসি পেল। উনি কিছু মনে করলেন না। ভাই আপনি আবার সেই টাকারে হালাল করার চেষ্টা করেছেন? আর কি বলতাম। তবে ভাল মানুষের পেটে হারাম তেমন একটা হজম হয় না। ভাল করেছেন।

- কি আর করা ভাই। সে তো টাকা দিচ্ছে না। আরেক প্লেইট দিবো নাকি চটপটি?
- দেন। আবার খিদে পেয়ে গেল।

মাঝে মাঝে ভাবি এই দেশের সাধারণ অশিক্ষিত মানুষগুলো যে অল্প পরিমাণে আয় করে তা খেয়ে-পড়ে জমানো তো দূরের কথা এই রক্তচোষা লাভ (সুদের হাল পরিভাষা) দিতেই হয় না। গরীব গরীব হয় আর টাকা খাটানো লোক লাভে লাভবান হয়।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই হারাম এবং নির্লজ্জ কাজ থেকে দূরে রাখুন।

মুহাম্মদ আরিফ
১৬ নভেম্বর ২০১৭

রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭

প্রবাসীদের বিয়ে

প্রবাসীদের নাকি আমাদের দেশের মেয়েরা বিয়ে করতে চায় না। আমি আসলে ভিডিওটা (আসলে প্রবাসীদের মেয়েরা কেন বিয়ে করতে চায় না সেটা নিয়ে একটা prank video করে কিছু youtuber) দেখিনি। তবে দেখতেও চাই না। অনেক দিন পর লিখতে বসলাম আবার। দেখি আজ এ ব্যাপারে কি লিখতে পারি।

প্রথমত,
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল আপনি যখন একটা নিউজ পেয়েছেন তখন অবশ্যই এর সোর্স দেখবেন। সেই নিউজ কে প্রকাশ করলো আর এর গুরুত্বই বা কতখানি! এটা আমরা অনেক সময়ই করি যে সস্তা অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোর চকমকে হেডলাইন পড়ে নিউজ লিঙ্কে ক্লিক করি আর সেই সস্তা রিপোর্ট গুলো পড়ি। কাজের কাজ কিছুই হয় না বরং নিউজ পোর্টাল গুলো আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা করে আর লাভবান হয় প্রায় সময় (যা হোক এ নিয়ে অন্য একদিন লিখার ইচ্ছা আছে)। এখন আপনাদের উত্তেজিত হওয়া সেই ভিডিওটা কি কোনো পরিচিত মিডিয়ার ধারণ করা? এদের কি তথ্য মন্ত্রণালয় এর নিবন্ধন আছে? হয়ত এসব প্রশ্ন আপনার মনে উকিও দেয়নি। যদি না হয় তবে এ নিয়ে এতো উত্তেজিত হওয়ার কোনো মানেই হয় না।

দ্বিতীয়ত,
আমাদের দেশের মানুষ সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কিন্তু জানেই না যে কোন বিষয় সবার সাথে শেয়ার করা যাবে এবং কোনটি শেয়ার করার কোনো দরকারই নেই। অনেক মানুষ দেখা যায় এরা এমনভাবে নিজেদের উজার করে দেয় যে সোশাল মিডিয়ার ভারচুয়াল ফ্রেন্ডরা তার পাতিলের খবর পর্যন্ত জানে। আবার কেউ কেউ ছবি দিয়ে দিয়ে নিজেকে মডেল এর পর্যায়ে নিয়ে যায়। আবার কিছু মানুষ আছে যারা গুজব বা অদরকারি সংবাদ ছড়ায়। এদের মধ্যে কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কাজটি করে আবার কেউ কেউ অতি আবেগী হয়ে করে। একটু খেয়াল করলেই কি আমরা বুঝতে পারি না যে এই নিউজটার কোনো মূল্যই নেই কিন্তু আমরা একে যেভাবে পারি শেয়ার করছি। যেন আমরা সবাই ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা।

তৃতীয়ত,
আচ্ছা আমাদের দেশের প্রবাসীরা কি চিরজীবন কুমার থাকে? আমি যত প্রবাসী দেখেছি তাদের বিয়ের ব্যাপারে তেমন কোনো সমস্যাই হয় না। কারণ তারা টাকা আয় করে স্বাবলম্বী হলে তারপরেই বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজতে থাকে এবং প্রতিষ্ঠিত পাত্রের জন্য পাত্রী খুঁজে পাওয়া কোনো ব্যাপারই নয় এ কথা যেকোনো ঘটক বলবেন।
শিক্ষার ব্যাপারে যদি বলি, প্রবাসীরা স্বাভাবিকভাবেই তেমন পড়ালেখা করেন না। কিন্তু তাদের বিয়ের ক্ষেত্রে আমার মনে হয় না পড়ালেখা তেমন কোনো ফ্যাক্টর হয়। কিছুদিন আগেও এক বিয়ের দাওয়াতে গেলাম যেখানে প্রবাসী স্বামীর চেয়ে তার স্ত্রী অনেক লেখাপড়া করেছে। আচ্ছা তাহলে কি এখনো বলবেন আমাদের দেশের মেয়েরা প্রবাসীদের বিয়ে করতে চায় না?

শেষ করতে চাই,
প্রবাসীদেরও সমস্যা আছে। ওনারা ধোয়া তুলসী পাতা নন। এই পুরো ব্যাপারটা ভাইরাল করার মহান দায়িত্ব তারা কাঁধে তুলে নেন আবার জুতা দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কাউন্টার ভিডিও ও তৈরি করেন। প্রবাসীদের দাম্পত্য জীবনে সমস্যাও বেশি হয় সাধারণত। যাহোক সেটা আলোচ্য বিষয় নয়। কিন্তু আপনি প্রবাসী, দেশের রেমিটেন্স শ্রমিক, দেশের শুভাকাঙ্ক্ষী আপনারও কিছু দায়িত্ব আছে। যেকোনো কিছু ভাইরাল করার মহান দায়িত্ব নেওয়ার আগে ভেবে দেখবেন এর ফল কি হতে পারে.... আর একটা কথা মনে রাখবেন এক টুকরো ঢাকা যেমন কখনো সারাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। কয়েকটিও তেমন সব মেয়ের প্রতিনিধিত্ব করে না।

মুহাম্মদ আরিফ
২৪ জুলাই ২০১৭

রবিবার, ২১ মে, ২০১৭

একজন আদর্শ ছাত্রের ময়নাতদন্ত

He is a good student.
সে একজন ভাল ছাত্র(!)।

ভাল ছাত্র/ছাত্রী!
কথাটা শুনলেও আমার কেন যেন হাসি আসে। কারণ ভাল ছাত্র মানেটা কী? সজ্ঞা কী?  কতগুলো A+ এর সমষ্টি! নানা এখন সেটা Golden(!) A+ এর সমষ্টি। একটা ছাত্র PSC, JSC, SSC, HSC তে গোল্ডেন A+ এবং বিভিন্ন সরকারি বৃত্তিধারী, সে হল একজন ভাল বা অদর্শ ছাত্রের রোল মডেল। আমি আসলে এখনো নিশ্চিত নই এত A+ ধারীকে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কি উপাধিতে ঘোষিত করেছে বা করবে। তারপর সেই A+ ধারণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে শুরু হবে CGPA এর জন্য লড়াই। যারা 3.5+ রাখতে পারবে শুধু তারাই ভাল ছাত্র। BCS পরীক্ষা দিতে যাবেন তো দেখবেন মেধাবীদের তুলনায় কোটা ও দলীয়দের প্রভাব বেশি।

আচ্ছা বাকি সব ছাত্র বা ছাত্রীরা শিক্ষার্থী জগতের কলঙ্ক? তারা কি জীবনযাপন করতে পারে না? সে কি করে চলে যে পড়ালেখাই করেনি?
ছাত্রসমাজ এর বেশিরভাগ হল অমনোযোগী ছাত্র আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী, আমাদের সমাজের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী। তাহলে তারা কেন পড়াশোনা করে? সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধাবীদের জায়গা দেওয়ার পর মেধাহীনদের জন্য কেন এত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়? একটা দেশের সাবেক আমলা এবং মন্ত্রী যখন বলেন যে পিলার ধরে নাড়াচাড়া করলে বহুতল বিল্ডিং ধসে পড়ে তখন আমার মনে হয় আমরা আসলে মগেরমুল্লুকে আছি।

এখানে একজন ছাত্রের নিজস্ব কোনো ইচ্ছা নেই। বাবা-মা চায় তার সন্তান ডাক্তার হবে তাই তাকে ডাক্তার হতেই হবে। বাবা-মা চায় ইঞ্জিনিয়ার, উকিল বা ফার্মাসিস্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু একজন ছাত্রের নিজের কোনো ইচ্ছে নেই। কেউ যদি লেখক,গায়ক অথবা চিত্রশিল্পী হতে চায় তবে আমরা তাকে বাঁকা চোখে দেখি যেন কোনো ভিন গ্রহ থেকে আগত প্রাণী। মাঝে মাঝে ভাবি সবাই যদি সেরা বিষয়গুলো পড়ার জন্য পাগল হয়ে থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা, ইতিহাস, চারুকলা, সমাজবিদ্যা, পালি এগুলো কারা পড়ে? তারাও তো আমাদের মত মানুষ।

A+ এর কথা বললে বলতে হবে ঢাকা বোর্ডে চলে যান। সেখানে সব অতিমেধাবী শিক্ষার্থী, যাদের শিক্ষকেরা(সম্মান রেখেই বলছি) পরীক্ষার দিন সকালে প্রশ্ন সমাধান করে দেন। ৮ বোর্ডে ৮ রকম প্রশ্ন কিন্তু A+ এর কোটা ৮০ এর ঘর ছুঁলে তারপরেই পাবেন। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, সমাপনী পরীক্ষার্থীরা বড়দের কাছে ইন্টারনেটে কিভাবে প্রশ্ন পেতে হয় জিজ্ঞেস করে। JSC, SSC, HSC পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার আগেরদিন চাতক পাখির মত ফেইসবুকে ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটের দিকে তাকিয়ে থাকে, এই বুঝি প্রশ্ন এলো।

অনেক A+ ধারীকে চিনি যাদের নিজে থেকে এক পৃষ্টা কিছু লিখতে বললে শুধুই ভুল বানান চোখে পড়বে। কারণ ভাল ছাত্ররা শুধু পাঠ্যবই পড়ে। আমাদের সমাজব্যবস্থা,  যে ছাত্র গল্পের বই পড়ে সে নষ্ট হয়ে গেছে। আমি যদি নাই জানলাম আমার আশেপাশের মানুষের জীবনব্যাবস্থা কেমন তাহলে আমার জীবনটা থেকেও না থাকার মত।

পরিশেষে,
একজন ছাত্র, তার বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ থাকতে পারে। বিভিন্ন বিষয়ে থাকতে পারে অনাগ্রহ। সব ছাত্রকেই যে ক্লাসের টপার হতে হবে এমনটা কখনোই নয়। সে সময় নেবে তার গতি বেছে নেওয়ার জন্য যেটা তার জন্য ভাল। সেজন্য তাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে দিতে হবে সে জ্ঞান। এই সময়ের শিক্ষাব্যবস্থা ও সমাজব্যবস্থা এর চোখে একজন অমনোযোগী ছাত্র হতে পেরে আমি গর্বিত।

বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, আগে একটা সময় ছিল যখন পরীক্ষায় পাশ করতো কম আর ফেল করতো বেশি। বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী দেখা যেত কয়েকবার পরীক্ষা দিয়ে তারপরই পাশ করতো। অনেককে SSC পরীক্ষার হলে যেতেই কয়েকবার টেস্ট পরীক্ষা দিতে হোত। তাদের প্রতি আমার অসংখ্য শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকে লিখা শেষ করছি। কারণ তারা চেষ্টা করে অনেক কঠিন পদ্ধতির মধ্যে পাশ করতো।

মুহাম্মদ আরিফ
৪ মে ২০১৭

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৭

বোবা ধরা - জ্বিন সিরিজ ৪

আজ বলব বোবা ধরা সম্পর্কে।
পর্ব-০৪

গত পর্বের পর অনেকে বলেছে যে বোবা ধরা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত বলতে। ব্যাপারটা জ্বিন ঘটিত বলাতে অনেকে বলেন এর সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা আছে। তবে আমি বলেছিলাম এর সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যাগুলো ভুক্তভোগীর কিছু অভিজ্ঞতার পরিপন্থী। তাই তুলে ধরতে আজ এই লিখা।প্রথমত বোবা ধরা ব্যাপারটা সম্পর্কে আমার আইডিয়া কম(এখনো অভিজ্ঞতা হয়নি)। তাই আমি শুরুতে চেষ্টা করি ব্যাপারটা নিয়ে একটু রিসার্চ করতে।আর যেহেতু এখানে সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যার সাথে তুলনা করা হবে তাই ব্যাপারটা আরো কঠিন। কারণ সায়েন্স এর সাথে লড়ার দক্ষতা আমার নাই।

WIKIPEDIA তে Sleep Paralysis বা SP(বোবা ধরার ইংরেজি) এর সঙ্গা দেওয়া আছে এরকম
Sleep paralysis is a phenomenon in which an individual, either during falling asleep or awakening, temporarily experiences an inability to move, speak, or react.[1]

আর এর তিন প্রকার করা হয়েছে সার্বিক ভাবে।

১.ঘরে অযাচিত কিছুর উপস্থিতি ভয়।

২.ইনকুবাস নামক শয়তানের ভয়।

৩.সংবেদনশীলতা লোপ পাওয়া।

দেখা যাচ্ছে যে তিন প্রকারের দু প্রকারই অদৃশ্যে ভয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত। আবার যদি আমরা সায়েন্টিফিকভাবে এর প্রকারভেদ করি তবে পাওয়া যায় ২ প্রকার।

১.Hypnagogic SP: ঘুম আসার সময় শরীরের স্থিতিশীল হওয়াটা অনুভব করা।
২.Hypnopompic SP: গভীর ঘুমে REM(rapid eye movement)[2]  ও NREM(non-rapid eye movement)[3] সাইকেল এর পরিবর্তন এর ফলে ঘুম ভেঙে যাওয়া। নিজের শরীর নাড়ার ক্ষমতা লোপ পাওয়া।[4]

কিন্তু আমরা যদি ভিক্টিমদের অভিজ্ঞতার দিকে নজর দেই তবে দেখতে পাই ব্যাপারটা শুধু হাত-পা নাড়তে না পারার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।তারা বুকের উপর কাউকে দেখতে পায়।অনেকে গলা টিপে ধরা হাতের উপস্থিতি বুঝতে পারে এমনকি অনেকের গায়ে দাগও পাওয়া যায়।যেটা নিজে নিজে হওয়া সম্ভব নয় যেখানে ভিক্টিমের হাতও অবশ থাকে। আরেকটি মজার বিষয় হল এটি ঘটার জন্য ঘুমানোও লাগে না।এমন অনেক অভিজ্ঞতা আছে যেখানে ভিক্টিম বসে থাকা অথবা শুয়ে থাকে সম্পূর্ণ সজাগ অবস্থায় আক্রমণ এর শিকার হয়েছে যা সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যার পুরো বিরোধী।আপনারা আরো দেখতে পারেন নেট ঘেটে।
আমি এটা বলতে চাইছি না যে এরকম অভিজ্ঞতার সব জ্বিনেদের মাধ্যমে হয়।তবে এদের মাধ্যমেও যে এটা হতে পারে তা অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই।

[1] https://en.m.wikipedia.org/wiki/Sleep_paralysis

[2] https://en.m.wikipedia.org/wiki/Rapid_eye_movement_sleep

[3] https://en.m.wikipedia.org/wiki/Non-rapid_eye_movement_sleep

[4] http://www.webmd.com/sleep-disorders/guide/sleep-paralysis

মুহাম্মদ আরিফ
০৬ অগাস্ট ২০১৬

রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৭

ভয় - জ্বিন সিরিজ ৩

আজ নিয়ে এসেছি জ্বিন সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য।
পর্ব -০৩

প্রথম পর্বে আত্না(বাড়িঘরে ঘোরা আত্না) নিয়ে একটু বলেছিলাম।কিন্তু বিষয়টা পরিষ্কার করিনি। খেয়াল করলে দেখবেন মানুষের অভিজ্ঞতা বর্ণনার সময় মানুষ বলে তারা যে আত্নাটা দেখে তার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। অর্থাৎ এটা Natural Cause এর মৃত্যু ছিল না। একটা মানুষের পেছনে কি পরিমাণ শয়তান লেগে থাকে গুনে শেষ করা যাবে না। যখন কারো মৃত্যু আত্নহত্যায় হয় তখন তার শয়তান সবচেয়ে বেশি সফল হয়। খুন ক্ষেত্রে যার হাতে খুন হয় তার শয়তান সফল হয়।তাই তারা সেই সফলতাকে আর একটু বাড়াতে মৃত ব্যক্তির রূপ নিয়ে মানুষের সামনে আসে। যাতে তাদের ভয় পেয়ে মানুষ নানা অনৈসলামিক কাজ করে।আরেকটা ব্যাপার হল মানুষ দুর্ঘটনাকে ভয় পায়। দেখা যায় যে একটা স্বাভাবিক রাস্তা যেখানে একটা দুর্ঘটনা হল সেখান দিয়ে যেতে মানুষ একটু ভয় পায়। সেটা ভৌতিক নয় সহজাত প্রবণতা। শয়তান এগুলোর ফায়দা নেয়।

আমাদের এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, মৃত্যুর পর পুণ্যবান আত্না ইল্লিন এবং পাপী আত্না সিজ্জিনে অবস্থান করে এবং কেয়ামত পর্যন্ত সেখানে থাকবে।তাহলে এই বিশ্বাস অনুযায়ী মৃতের আত্না অবাধে ঘোরাঘুরি করার সুযোগ নেই।

জ্বিনেদের কথা বললে যেটা অবশ্যই বলতে হয় তা হল "বোবা ধরা"। ধারণা করা হয় যে জ্বিনেদের মধ্যে কিছু জ্বিন আছে যারা কথা বলতে পারে না এবং অন্যান্য জ্বিনেদের মত মানুষের সামনে আসতে পারে না।তাই তারা ঘুমের সময় বেছে নেয় এবং মানুষকে কষ্ট দেয় ঘুমের মধ্যে। ধারণা করা হয় কিছুক্ষণের জন্য এরা মানুষের রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে যাতে চোখের কর্নিয়া ব্যতীত শরীরের অন্যান্য অঙ্গ অবশ হয়ে যায়। এরা এদের পছন্দের নির্দিষ্ট কিছু(কারণ সবাই এটার অভিজ্ঞতা পায় না) মানুষের কাছে আসে। ভুক্তভোগী অনেক সময় বুকের উপর কাউকে চড়ে বসতে দেখে অনেক সময় দেখে না।তবে এদের দ্বারা ঘুমের মধ্যে মানুষ মারার রেকর্ড নেই।

সাধারণত আয়াতুল কুর'সি অথবা কুর'আনের কিছু আয়াত পড়লে এরা শরীর ছেড়ে দেয়। তাই ওযু করে ঘুমোতে যাওয়া এবং রাসুলের সুন্নাহ অনুযায়ী ডান কাত হয়ে ঘুমোতে যাওয়া উত্তম।

কেউ যদি ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী পড়ে নেয় তাহলে আল্লাহর কাছ থেকে একজন রক্ষাকারী তাকে সারারাত পাহারা দিবে এবং শয়তান তার কাছে সকাল পর্যন্ত আসতে পারবেনা।
-[সহীহ বুখারী-২৩১১]

আজ এ পর্যন্ত।

মুহাম্মদ আরিফ
০৪ অগাস্ট ২০১৬

জ্বিনে ধরা - জ্বিন সিরিজ ২

জ্বিনদের সম্পর্কে আরো ববলব বলেছিলাম। আজ ২য় পর্ব,

Discovery Channel এর A Haunting অনুষ্ঠানটির ভক্ত ছিলাম অনেক। যেমনটা আমি হরর ফিল্ম এর প্রতি সামান্য আসক্ত। অনুষ্ঠানে দেখতাম কাউকে অশরীরী আক্রমণ করলে চার্চের প্রিস্ট তাকে হিল(HEAL) বা ঝাড়ফুঁক(EXORCISM) করেন বাইবেল থেকে নানা লাইন আউড়ে। তার গায়ে ছিটিয়ে দেন পবিত্র জল(জর্ডান নদীর পানি)। এতে তারা আরোগ্য লাভ করে। ব্যাপারটা আমাকে অনেক ভাবাত। কারণ আমি জানি অশরীরী যারা মানুষকে আক্রমণ করে তারা হল জ্বিন। আর জ্বিন কিভাবে তাদের করাপ্টেড(আমার মতে) ধর্মের রীতি অনুসারে ঝাড়-ফুকে ভয় পাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম শ্রদ্ধেয় এক হাফেজ বড় ভাইকে।
উনি বললেন, জ্বিন দু'ভাবে তাড়ানো যায়।

১. খোদার প্রতি বাধ্য করে,

২. খোদার প্রতি অবাধ্য করে।

এবং ওরা দ্বিতীয়টাই করে।

২নং থেকেই শুরু করব,
লক্ষ্য করলে দেখা যায় জ্বিনদের মধ্যে যারা খারাপ অর্থাৎ যারা শয়তানের দলে যোগ দিয়েছে তারাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষকে আক্রমণ করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে তারা চায় যে, কেউ যিশুর(বা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নাম) নাম নিক এবং এতে সে চলে গেলে তারা যিশুর(বা যার নাম নেওয়া হয় তার) মহত্ব বুঝে তার প্রার্থনা করবে। তাই বেশিরভাগ সময় অন্যান্য ধর্মাবলম্বিনী লোকের ঝাড়ফুঁকেও জ্বিন পোষক দেহ ছেড়ে দেয় যদি না তার অন্য কোনো বড় স্বার্থ  থাকে।

আবার শয়তানের প্রিয় বিষয় হল ব্ল্যাক ম্যাজিক। ইসলামী পরিভাষায় যাকে কুফরি-কালাম বলে। এটা এমন একটি বিষয় যার চর্চা করার ফল পৃথিবীতেও পেতে হয় এবং পরকালেও পেতে হবে। এটা হল শয়তানের কাছে সাহায্য চাওয়া যেখানে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে সাহায্য চাওয়া যায় না। পশ্চিমা বিশ্বে এরকম অনেক গোপন সোসাইটি আছে যারা Lucifer(শয়তান পূজারীরা ইবলিস কে লুসিফার বলে) পূজা করে। ব্যাপারটা আমাদের দেশে অতটা জনপ্রিয় না হলেও এর অস্তিত্ব আছে। এমন অনেক ফ্যামিলি আছে যারা এর ক্ষতিকারক দিক বা ব্যাপারটা সম্পর্কে সম্পূর্ণ না জেনেই বিভিন্ন বাবার(যারা বৌদ্দ হিসেবেও পরিচিত গ্রামে-গঞ্জে) কাছে যায় অন্যের ক্ষতি করার জন্য। অথচ তারা আল্লাহ এর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নামাজ - রোজাও করে।

কাউকে জ্বিনে ধরেছে বা আছর করেছে(possess) বলা যাবে তখন, যখন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান দ্বারা রোগীর আচরণ ব্যাখ্যা করা যাবে না। এর বিভিন্ন পদ্ধতি আছে যা আপনারা জেনে নিতে পারেন জ্ঞানী ব্যক্তিগণ এর কাছ থেকে। এবং এর চিকিৎসা করতে পারবেন স্রেফ কুর'আন ও হাদীসে জ্ঞানী ব্যক্তিগণ যাদের আরো অভিজ্ঞতা আছে।অর্থাৎ যারা রুকাইয়্যা করতে জানেন। রুকাইয়্যা হল ইসলামিক পদ্ধতিতে Exorcism। এবং এটা অনেক শক্তিশালী।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।

মুহাম্মদ আরিফ
৩১ জুলাই ২০১৬

ঈর্ষান্বিত উল্লাস

"যখন নাৎসিরা ইহুদীদের ধরতে এলো তখন আমি তার কোনো প্রতিবাদ করিনি কারণ-
আমি ইহুদী ছিলাম না।

যখন তারা কমিউনিস্টদের ধরতে এলো তখনো আমি কোনো প্রতিবাদ করিনি কারণ-
আমি কমিউনিস্ট ছিলাম না।

যখন তারা ট্রেড-ইউনিয়নিস্টদের ধরতে এলো তখনো আমি তার প্রতিবাদ করিনি কারণ-
আমি ট্রেড ইউনিয়নিস্ট ছিলাম না।

কিন্তু যখন তারা আমাকে ধরতে এলো তখন প্রতিবাদ করার মত কেউ অবশিষ্ট ছিল না।"

এটা জার্মান ধর্ম প্রচারক মার্টিন নিমোলার এর জনপ্রিয় একটি উক্তি। প্রটেস্টান্ট এই প্যাস্টরকে সাত বছর কাটাতে হয়েছিল কারাগারে।
এই কথাটা আজ তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যারা আজ গ্যালারীতে বসে তালি বাজাচ্ছেন আর উল্লাস করছেন শত অন্যায় দেখে। ঈর্ষান্বিত লোকেদের সংখ্যাই বেশি।
কে জানে হয়ত কাল আপনাদের উপরও যে পড়বে না সে ভয়াল থাবা?

পরিশেষে,
অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া রণিরাই আজ শুধু ছাত্র সমাজের গর্ব। বুটের নিচে পৃষ্ঠ হওয়া আল্লাহর কালাম বুকে ধারণকারী মাদ্রাসা ছাত্রটি মৌলবাদী। জেল থেকে পরীক্ষা দিয়ে এ+ পাওয়া ছাত্রটি ছাগু।
এটাই বাস্তবতা...

মুহাম্মদ আরিফ
১০/০৫/২০১৬

SULTAN - গেলানো সংস্কৃতি ২

কদিন আগ থেকে ফেইসবুকময় শুধু watching Sultan টাইপ স্ট্যাটাস দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গেছিলাম। তাই ভাবলাম দেখেই ফেলি সিনেমাটা।

অনেকে তো অনেক খুশী। একজন মুসলিম ক্যারেক্টার নিয়ে বানানো মুভি। আবার মুভির কাহিনী ও অভিনয়ে অনেকে মুগ্ধ। হারিয়ে গেছেন এর মাঝে। তাদের জন্য বলছি আপনি এড়িয়ে গেছেন অনেক কিছু যা আমার মনে হয় ডিরেক্টর  নিজেও চেয়েছিলেন যে আপনার সচেতন মন এড়াক কিন্তু অবচেতন মন নয়। কেউ খেয়াল করেছেন কি! ভারতীয় সিনেমাগুলোতে মুসলিম ক্যারেক্টার মানেই মাজার বা দরগাহ ভক্ত! তাদের চলাফেরা সব বিধর্মীর মত কিন্তু তারা নিয়মিত দরগাহে যায়। আরো মজার ব্যাপার হল কোনো হিন্দু ক্যারেক্টার মন্দিরে যায় তা অবশ্যই দেখানো হয় তবে মুসলিম ক্যারেক্টার এর মসজিদে যাওয়া দেখলাম না। তবে ঈদের নামাজ(Well done Appa নামক সিনেমাতে তো পুরোই ভুল দেখানো হয় ঈদের নামাজও) দেখানো হয়েছে কয়েকটা মুভিতে।

আরো একটি ব্যাপার আমি মনে করি সবার নজর কেড়েছে, তা হল একজন মুসলিমের হাত জোড় করা বা বলতে গেলে হিন্দুদের নমস্কার এর মত করা।  সিনেমায় সালমান খান প্রতি ম্যাচের পর প্রতিপক্ষের দিকে হাত জোড় করে ক্ষমা চায়। সত্যি অনেক হাস্যকর উপস্থাপন একজন মুসলিম ক্যারেক্টার এর।

ভারতে মুসলিমরা সংখ্যালঘু হলেও তার সংখ্যা কিন্তু ২০ কোটি যা আমাদের দেশের মুসলিমদের চেয়েও অনেক বেশি। যার মধ্যে আমি বিশ্বাস করি মাত্র ২০-২৫ শতাংশ দরগাহে যায়। আমার এ বিশ্বাসের ভিত্তি হল ইসলাম এটা সমর্থন করে না। তাহলে একটু ভাবুন সেই ২০ কোটি লোকের সংখ্যালঘুদের উপস্থাপন করে সবসময় সিনেমাগুলোতে কি বুঝানো হয়!

এটাই নয় কি, দেখো মুসলিম এবং হিন্দুদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই শুধু একটা ব্যতীত, আমরা মন্দিরের মূর্তিগুলোর পূজো করি আর তোমরা দরগাহের কবরকে

বাকিটা সবার বিচক্ষণ মস্তিষ্কের উপর ছেড়ে দিলাম....

মুহাম্মদ আরিফ
১৯ জুলাই ২০১৬