রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৭

জ্বিনে ধরা - জ্বিন সিরিজ ২

জ্বিনদের সম্পর্কে আরো ববলব বলেছিলাম। আজ ২য় পর্ব,

Discovery Channel এর A Haunting অনুষ্ঠানটির ভক্ত ছিলাম অনেক। যেমনটা আমি হরর ফিল্ম এর প্রতি সামান্য আসক্ত। অনুষ্ঠানে দেখতাম কাউকে অশরীরী আক্রমণ করলে চার্চের প্রিস্ট তাকে হিল(HEAL) বা ঝাড়ফুঁক(EXORCISM) করেন বাইবেল থেকে নানা লাইন আউড়ে। তার গায়ে ছিটিয়ে দেন পবিত্র জল(জর্ডান নদীর পানি)। এতে তারা আরোগ্য লাভ করে। ব্যাপারটা আমাকে অনেক ভাবাত। কারণ আমি জানি অশরীরী যারা মানুষকে আক্রমণ করে তারা হল জ্বিন। আর জ্বিন কিভাবে তাদের করাপ্টেড(আমার মতে) ধর্মের রীতি অনুসারে ঝাড়-ফুকে ভয় পাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম শ্রদ্ধেয় এক হাফেজ বড় ভাইকে।
উনি বললেন, জ্বিন দু'ভাবে তাড়ানো যায়।

১. খোদার প্রতি বাধ্য করে,

২. খোদার প্রতি অবাধ্য করে।

এবং ওরা দ্বিতীয়টাই করে।

২নং থেকেই শুরু করব,
লক্ষ্য করলে দেখা যায় জ্বিনদের মধ্যে যারা খারাপ অর্থাৎ যারা শয়তানের দলে যোগ দিয়েছে তারাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষকে আক্রমণ করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে তারা চায় যে, কেউ যিশুর(বা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নাম) নাম নিক এবং এতে সে চলে গেলে তারা যিশুর(বা যার নাম নেওয়া হয় তার) মহত্ব বুঝে তার প্রার্থনা করবে। তাই বেশিরভাগ সময় অন্যান্য ধর্মাবলম্বিনী লোকের ঝাড়ফুঁকেও জ্বিন পোষক দেহ ছেড়ে দেয় যদি না তার অন্য কোনো বড় স্বার্থ  থাকে।

আবার শয়তানের প্রিয় বিষয় হল ব্ল্যাক ম্যাজিক। ইসলামী পরিভাষায় যাকে কুফরি-কালাম বলে। এটা এমন একটি বিষয় যার চর্চা করার ফল পৃথিবীতেও পেতে হয় এবং পরকালেও পেতে হবে। এটা হল শয়তানের কাছে সাহায্য চাওয়া যেখানে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে সাহায্য চাওয়া যায় না। পশ্চিমা বিশ্বে এরকম অনেক গোপন সোসাইটি আছে যারা Lucifer(শয়তান পূজারীরা ইবলিস কে লুসিফার বলে) পূজা করে। ব্যাপারটা আমাদের দেশে অতটা জনপ্রিয় না হলেও এর অস্তিত্ব আছে। এমন অনেক ফ্যামিলি আছে যারা এর ক্ষতিকারক দিক বা ব্যাপারটা সম্পর্কে সম্পূর্ণ না জেনেই বিভিন্ন বাবার(যারা বৌদ্দ হিসেবেও পরিচিত গ্রামে-গঞ্জে) কাছে যায় অন্যের ক্ষতি করার জন্য। অথচ তারা আল্লাহ এর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নামাজ - রোজাও করে।

কাউকে জ্বিনে ধরেছে বা আছর করেছে(possess) বলা যাবে তখন, যখন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান দ্বারা রোগীর আচরণ ব্যাখ্যা করা যাবে না। এর বিভিন্ন পদ্ধতি আছে যা আপনারা জেনে নিতে পারেন জ্ঞানী ব্যক্তিগণ এর কাছ থেকে। এবং এর চিকিৎসা করতে পারবেন স্রেফ কুর'আন ও হাদীসে জ্ঞানী ব্যক্তিগণ যাদের আরো অভিজ্ঞতা আছে।অর্থাৎ যারা রুকাইয়্যা করতে জানেন। রুকাইয়্যা হল ইসলামিক পদ্ধতিতে Exorcism। এবং এটা অনেক শক্তিশালী।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।

মুহাম্মদ আরিফ
৩১ জুলাই ২০১৬

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন