রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৭

ভয় - জ্বিন সিরিজ ৩

আজ নিয়ে এসেছি জ্বিন সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য।
পর্ব -০৩

প্রথম পর্বে আত্না(বাড়িঘরে ঘোরা আত্না) নিয়ে একটু বলেছিলাম।কিন্তু বিষয়টা পরিষ্কার করিনি। খেয়াল করলে দেখবেন মানুষের অভিজ্ঞতা বর্ণনার সময় মানুষ বলে তারা যে আত্নাটা দেখে তার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। অর্থাৎ এটা Natural Cause এর মৃত্যু ছিল না। একটা মানুষের পেছনে কি পরিমাণ শয়তান লেগে থাকে গুনে শেষ করা যাবে না। যখন কারো মৃত্যু আত্নহত্যায় হয় তখন তার শয়তান সবচেয়ে বেশি সফল হয়। খুন ক্ষেত্রে যার হাতে খুন হয় তার শয়তান সফল হয়।তাই তারা সেই সফলতাকে আর একটু বাড়াতে মৃত ব্যক্তির রূপ নিয়ে মানুষের সামনে আসে। যাতে তাদের ভয় পেয়ে মানুষ নানা অনৈসলামিক কাজ করে।আরেকটা ব্যাপার হল মানুষ দুর্ঘটনাকে ভয় পায়। দেখা যায় যে একটা স্বাভাবিক রাস্তা যেখানে একটা দুর্ঘটনা হল সেখান দিয়ে যেতে মানুষ একটু ভয় পায়। সেটা ভৌতিক নয় সহজাত প্রবণতা। শয়তান এগুলোর ফায়দা নেয়।

আমাদের এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, মৃত্যুর পর পুণ্যবান আত্না ইল্লিন এবং পাপী আত্না সিজ্জিনে অবস্থান করে এবং কেয়ামত পর্যন্ত সেখানে থাকবে।তাহলে এই বিশ্বাস অনুযায়ী মৃতের আত্না অবাধে ঘোরাঘুরি করার সুযোগ নেই।

জ্বিনেদের কথা বললে যেটা অবশ্যই বলতে হয় তা হল "বোবা ধরা"। ধারণা করা হয় যে জ্বিনেদের মধ্যে কিছু জ্বিন আছে যারা কথা বলতে পারে না এবং অন্যান্য জ্বিনেদের মত মানুষের সামনে আসতে পারে না।তাই তারা ঘুমের সময় বেছে নেয় এবং মানুষকে কষ্ট দেয় ঘুমের মধ্যে। ধারণা করা হয় কিছুক্ষণের জন্য এরা মানুষের রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে যাতে চোখের কর্নিয়া ব্যতীত শরীরের অন্যান্য অঙ্গ অবশ হয়ে যায়। এরা এদের পছন্দের নির্দিষ্ট কিছু(কারণ সবাই এটার অভিজ্ঞতা পায় না) মানুষের কাছে আসে। ভুক্তভোগী অনেক সময় বুকের উপর কাউকে চড়ে বসতে দেখে অনেক সময় দেখে না।তবে এদের দ্বারা ঘুমের মধ্যে মানুষ মারার রেকর্ড নেই।

সাধারণত আয়াতুল কুর'সি অথবা কুর'আনের কিছু আয়াত পড়লে এরা শরীর ছেড়ে দেয়। তাই ওযু করে ঘুমোতে যাওয়া এবং রাসুলের সুন্নাহ অনুযায়ী ডান কাত হয়ে ঘুমোতে যাওয়া উত্তম।

কেউ যদি ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী পড়ে নেয় তাহলে আল্লাহর কাছ থেকে একজন রক্ষাকারী তাকে সারারাত পাহারা দিবে এবং শয়তান তার কাছে সকাল পর্যন্ত আসতে পারবেনা।
-[সহীহ বুখারী-২৩১১]

আজ এ পর্যন্ত।

মুহাম্মদ আরিফ
০৪ অগাস্ট ২০১৬

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন