শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৭

বিশ্বাস - জ্বিন সিরিজ ১

আপনার ঘটনা বলার আগে আপনি বলুন আপনি অতিপ্রাকৃত এর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন কি না! ভূত এফএম টাইপের অনুষ্ঠানগুলোর কমন প্রশ্ন। উত্তরে বাঙলার আপামর জনসাধারণ এর অধিকাংশই বলে থাকেন যে তারা আগে করতেন না তবে এখন করেন। অনেকে ভূত-প্রেত-আত্নার অনেক গাঁজাখুরি গল্প বর্ণনা করেন।

পয়েন্টে আসি। প্রথমত, আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তবে আপনাকে অবশ্যই অদৃশ্যে বিশ্বাস করতে হবে।কারণ ইসলামী বিশ্বাসের অনেক কিছুই জড়িয়ে অদৃশ্যে বিশ্বাসের সাথে। আল্লাহকে আমরা দেখতে পাই না কিন্তু আমরা তাঁর ইবাদত করি। আবার আপনাকে এটাও বিশ্বাস করতে হবে যে জ্বিন জাতি বলে আলাদা একধরণের আল্লাহ এর সৃষ্টি আছে।

“আমি জ্বিন ও মানুষকে কেবলমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি” 
[আয্ যারিয়াত :৫৬]

কুর'আনে জ্বিনদের নিয়ে আলাদা সূরা পর্যন্ত নাজিল হয়েছে। হাদীস শরীফে বহুবার তাদের কথা বলা হয়েছে। তারপরও আমাদের দেশের বাবা-মা তাদের সন্তানকে শিক্ষা দেয়, ভয় পেয় না জ্বিন-ভূত কিচ্ছু নেই। জ্বিনদের সম্পর্কে আরো জানার ইচ্ছা থাকলে আপনি পড়তে পারেন আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ূতি এর লিখা বাংলায় অনুবাদকৃত "জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস" বইটি [ইন্টারনেটে পাওয়া যায়]।

আমার দ্বিতীয় কথাটি হল মৃত মানুষের আত্নার অস্তিত্ব। যদি মুসলিম হন আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে মৃত মানুষের আত্না এ পৃথিবীতে আর ফিরে আসতে পারে না। হাদীসে এসেছে তারা রুহের জন্য নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করে কেয়ামত পর্যন্ত। তবে কবরে সোয়াল-জাওয়াব এর জন্য রুহকে পূণরায় দেহে ফেরত আনা হয়।

"যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলেঃ হে আমার পালণকর্তা! আমাকে
পুনরায় (দুনিয়াতে ) প্রেরণ করুন।যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি করিনি। কখনই
নয়, এ তো তার একটি কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা আছে পুনরুত্থান দিবস
পর্যন্ত।"
-[সূরা আল মুমিনুন: ৯৯-১০০]

কিন্তু আপনি যদি গাঁজাখুরি গল্প শুনেন আপনি শুনবেন অমুকের আত্না এসে ডিস্টার্ব করছে। তমুকের অতৃপ্ত আত্না ঘুরে বেড়ায় ওখানে। আসলে এগুলো হল দূষ্ট জ্বিনদের কাজ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তারা এরুপ করে থাকে।
জ্বিনদের সম্পর্কে ভবিষ্যতে আরো লিখার ইচ্ছা আছে। তবে আজ এপর্যন্ত।

মুহাম্মদ আরিফ
২৭ জুলাই ২০১৬

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন